“যা প্রবৃত্তিকে নিবারণ করে সংযত করে কাম,
সে’ই প্রকৃত ভালোবাসা, প্রেম তারই নাম।
যে রুপ দৃষ্টিকে কামাতুর করে না দিয়ে মনকে দোলা,
সে প্রেম শুধু মনকেই পুড়াবে দিয়ে যাবে বিষ জ্বালা।
স্পর্শে যাদি শরীর জাগে হৃদয়ে বহেনা ধারা,
সে কিছুতেই প্রেম হতে পারেনা কামস্পৃহা ছাড়া।
কাম ও প্রেম পাশাপাশি থাকে হয়ে একে অপরের প্রতিবেশি,
কাম হল তপ্ত সূর্য্য কিরণ আর প্রেম সুশীতল স্নীগ্ধ পূর্ণ শশী।”
(আংশিক)
#নিরো
২৭/০৮/২০১৬ইং
চরণ ভজন কি সে কারণ? ভক্তিই বা কি?
গুরু সে হয় কত প্রকার? কেমনই বা তার প্রকৃতি?
সৃষ্টির মূলে লুকাইলো সে যে সৃজিলো বিশ্বভূবন,
কোন সূপ্ত নিগূঢ় তত্ব করলে রপ্ত খুলে সে বিভাজন?
কোন সে ভাবের অভাব হলে স্বভাবে ধরে পঁচন?
কোন সে মৃত্যু অমর করে আর জীবদ্বশায় হয় মরণ?
কি সে জ্ঞানে জ্ঞানাঙ্গনে হয়রে আলোর চাষ?
কো সে সময় অতিবাহিতে হয় বছরান্তে মাস?
এসব কথা জিজ্ঞাসিলে লোকে আমায় পাগল বলেে
উন্মাদ বলে দেয় আখ্যা,
তবুও মন প্রশ্ন করে যায় সারাক্ষণ
চায় প্রতিনিয়ত এর ব্যাখ্যা।
(আংশিক)
#নিরো
২৩/০৮/২০১৬ইং
:- কেমন আছো?
:- এইতো চলে যাচ্ছে দিন,
কেমন আছি তা আর খুজে দেখিনি কোনদিন!
:- এভাবে বলোনা, নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়!
:- আমিতো স্বেচ্ছায় নির্বাসিত আজ
মেনে নিয়ে পরাজয়!
:- চিরকাল তুমি নিজেকে লুকিয়ে
দিয়ে গেলে করে ঋণী?
:- এসব এখন মূল্যহীন আবেগ
যা কখনো তুমি বুঝনি!
:- সেইতো আমার ক্ষণিকের সুখ
আজন্ম অমৃতের সমান,
:- থাম, আর বলোনা
কেন এসব বলে করছো আবার অপমান!
:- সত্যি বলছি, এ বিভাজনের দায় শুধুই একা আমার।
:- ক্ষতটাকে লুকিয়ে একটু বাঁচতে চাই
প্রয়োজন কি তাকে জাগিয়ে দেবার?
:- ভালো থাকো এই কামনা আজীবন করে যাবো,
:- কি করে ভাবলে তুমি আমি তোমায় অভিশাপ দেবো?
:- নতুন করে আবার পৃথিবী সাজাও
নতুন কারো রেখে হাত,
:- কে বলেছে একা আমি
এইতো আমার সঙ্গী রাতের তারা আর চাঁদ।
:- একটিবার আমার কথা শুনো
এভাবে করোনা নিজেকে করছো বঞ্চিত!
:- আর্শীবাদ করো যেন এভাবেই চিরদিন
বিষ নিগড়ে পান করতে পারি সুধা অমৃত!
***নিরো***
২৮/০২/২০১৫ইং
১৷ তখন হেমন্তের শেষ প্রায়, শীত দ্বারে আসিয়া কড়া নাড়িতেছে। পদার্থ
বিজ্ঞান বিভাগের এক যুবক রসায়নের এক সুন্দরী রমণীর প্রেমে পড়িয়াছে এবং
প্রস্তাব ও দিয়াছে। রমণী রাজি বলিয়াই মনে হইলো। কারণ, রমণী
প্রত্তুত্যরে মৃদু হাসিয়াছিলো।
*
২৷ শীত আসিতেই প্রেমের
উষ্ণতা বাড়িলো। এরই মাঝে রমণী জন্মদিন সন্নিকটে আসিয় পড়িলো। যুবক
তাকে কি উপহার দিবে ভাবিয়া ভাবিয়া দিশে হারা। এই শীতে রমণী একখানা
চাদর খরিদ করিবে বলিয়া যুবককে জানাইলো। যুবক ভাবিলো তবে জন্মদি
নে একখানা দামি চাদর কিনিয়া দিবে।
*
৩৷ যুবক দামি একখানা মার্কেটে যাওয়ার পরে একখানা Hoodie তার খুবই
পছন্দ হইয়া গেলো এবং সে তাহা খরিদ করিলো। জন্মদিনে যথারীতি তাহা
উপহার হিসেবে রমণীকে দিলো।
*
৪৷ উপহার পাইয়া রমণী খুশি হওয়ার
পরিবর্তে রাগিয়া গিয়া তাহাকে অপদার্থ বলিলো এবং সম্পর্কে ভাটা
পড়িলো। ইহার এরুপ আচরণের হেতু যুবক আবিষ্কারে ব্যর্থ হইলো।
*
*
*
*
*
*
৫। তার এক বছর পরে যুবক যখন সেই পুরোনো পথে হাটছিলো, দেখলো
অনতি দূরেই রসায়নের সেই রমণীটি এক যুবকের সহিত একখানা চাদরের
উষ্ণতা ভাগ করিয়া লইয়া হাসি ঠাট্টায় মত্ত হইয়াছে।
আজ এই দৃশ্য দেখিয়া যুবক অবশেষে সেই দিনের অপদার্থ বলার অর্থ বুঝিলো!
#নিরো
০৭/০১/২০১৬ইং
8:31:00 PM |
Category:
অনুগল্প,
গল্প,
ছোটগল্প,
মজার গল্প
|