ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে
নয়তো আপন কর্ম দোষে,
রাজাও পথে বসে
এমন নজিরও আছে॥

আবার যে দ্বীনহীন কাঙ্গাল
যে পৃথিবীর কাছে জঞ্জাল ,
তার গলায় ও দিতে হবে মালা
আজ নয়তো কাল॥

কুলীন ও হতে পারে কুলের গর্ব
পতিত যে সেও পেতে পারে আশ্রয়,
যে পরাজিত হচ্ছে আজ কে
কে জানে কালকে সে ছিনিয়ে আনতেও পারে বিজয়॥

গর্ব করলে তা খর্ব হবেই
সংযত হও, নিবৃত করো অহংকার,
মাটির দিকে তাকিয়ে চলো পথে
উদ্ধত শির ধ্বংসই শুধু করবে তোমার॥

মোহ কাটিয়ে মায়ায় জড়াও
লোভের শেঁকল ফেলো ছিঁড়ে,
অর্থ বৈভব সব ক্ষণস্থায়ী
সুখ সেতো থাকে অন্তরে॥

কাঁদাতে নয় কাঁদতে শেখো
সেবা করো যে নিপীড়িত,
অন্ন দাও তাকে যে ক্ষুধার্ত
সাহস হও তার যে আহত
মানুষ তুমি তবেই তো॥

#নিরো
২৭/০১/২০১৪ইং



"নীরব ঘাতক তোমার দু'চোখ
তীক্ষ্ণ হয়ে বিধে বুকে,
তোমার জন্য প্রেম কালিমা
মাখতে রাজি আমার মুখে॥

তীক্ষ্ণ চোখে কেনো আবার
কাজলের দাও টান,
পড়লে ও চোখ আমার চোখে
হৃদয় করে আনচান॥

দৃষ্টি তোমার যেমন মনে বৃষ্টি ঝরায়
তেমনি বুকে আগুন জ্বালায়,
এই ভেবে হই দিশেহারা
কেমন করে ধরোগো চাঁদ
তোমার ও দুটো ঠোঁটের কোণায়॥

হাতের চুড়ি কেমন করে
নড়লে ও হাত উঠে ঝনঝনিয়ে,
টোল পড়ে তুমি হাসলে গালে
সিঁদুরা রাঙ্গা টিপ কপালে
এলো চুলে ঢেউ তুলে হায়! এ কি করলে সর্বনাশ,
ঘুম আসেনা চোখ বুজলে
স্বপ্ন মাঝেই যেন করছি বসবাস॥"

#নিরো
১৪/০৫/২০১৪ইং

তোমার মুখটা যেনো
নিতল দিঘীর অতল জলে সদ্য ফুটা পদ্ম,
তোমার চোখের গভীরতায় হার মানে
তের নদী সাত সমুদ্র॥

তোমার চুলের আধাঁর নিয়ে মেঘেরা বুঝি হয়েছে এত কালো,
তোমার পায়ের স্পর্শ পেয়েই পথের দূর্বা প্রাণ পেলো॥

চাঁদ আসে রোজ দেখতে তোমায় রাতের বেলায় চুপিচুপি,
আমিও তাই দিশেহারা তোমার প্রেমে সারাক্ষণ তোমার নামটাই জপি॥

তোমার হাঁসি ঘুম কেড়ে নেয়
মন করে উদাসি,
কন্ঠ তোমার যাদুতে ভরা
যেনো প্রাণঘাতী শ্যাঁমের বাঁশি॥

#নিরো
১৬/১১/২০১৩ইং

তোমার সাথে আর কথা হবেনা
ভাবতেই চোখ আমার ভরে কান্নায়,
তোমার সাথে আর দেখা হবেনা
দুঃখরা এসে তাই আমার দুয়ারে দাড়ায়॥
যখনি ভাবি তুমি আর এখন আমার কেউনা,
নিজের মনটাকে কিছুতেই বুঝাতে পারিনা॥
অনেক ব্যবধান আজ তোমায়-আমায়,
তুমি আকাশের চাঁদ আমি ধুলোর ধরায়।


তুমি কখনো আমার কাছে আর আসবেনা
আমার পাশে বসে হাত ধরবেনা,
ভীষণ মনে পড়ে তোমার সেই কথাটি
আমায় কখনো তুমি ভুলোনা।


তুমিতো কখনো আমায় আর ডাকবেনা
আমার কথা ভেবে আরতো কাঁদবেনা,
তোমার জীবনে তুমি থেকো সুখে
আমি আর সে জীবনে আসবোনা।

#নিরো
২০/০২/২০০৭ইং

ভুলে যাওয়া যায় খুব সহজেই
সহজে আপন হওয়া যায় না,
ভেঙ্গে দেয়া যায় মন এক কথাতেই
ভেঙ্গে গেলে তা আর জোড়া লাগে না ।
শতজনম করে উপাসনা
কেউ ভালবাসা পায় কেউ পায় না,
কারো কাছে ভালবাসা শুধুই পুতুল খেলা
জীবনে কখনো তারা সুখী হয়না ।

দুটি মন একসাথে মিশে গিয়ে ভালবাসে
স্বপ্ন আসে চোখে সুখেরই ডানায়,
ভুলেরই ঝড় তবু ভেঙ্গে দিতে চায় শুধু
বিশ্বাস এসে বাঁচতে শেখায় ।

স্মৃতির এমন দহন ঝরায় চোখে শ্রাবণ
এরই মাঝে কিছু চাওয়া পূর্ণতা পায়,
ভুলে যাওয়া কথা লুকিয়ে রাখা ব্যাথা
সামনে এসে শুধু দূঃখ বাড়ায় ।

#নিরো
০৭-০৬-২০০৬ ইং

খোঁপায় গুজো কৃষ্ণচূড়া
কানে সোনাছড়ি,
চোখে কাজল পড়ো টেনে
হাতে রেশমী চূড়ি ॥
হলুদ রং এর শাড়ির সাথে
কপাল সিঁদুরে রাঙা,
মুগ্ধ নয়নে দেখব তোমায়
যেন পরী তুমি, কাটা ডানা ॥

#নিরো
০৯>০৫>২০১১


"তুমি বলোনা বিদায় কখনো,
মাঝপথে রাত এসে দাড়ায় যদি
পাহাড় ভেঙ্গে গিয়ে হয় যদি নদী
বলোনা বিদায় তুমি তখনো॥

হাজার ব্যথার মাঝেও প্রেম বেঁচে রয়
অভিমান ছাড়া কোনো প্রেম না হয়॥
বিরহের অনলে মনকে পোড়ালে
বলবো ভালোবাসি সেদিনও॥

হাজার সাধনায় প্রেম আসে জীবনে
সে বাঁধন ছিড়েনা তো এক মরণে॥
ছলনার ছলে আমাকে কাঁদালে
বলবো ভালোবাসি এখনো॥"

#নিরো
১৯-০৩-২০০৫ইং


"বসন্ত বাতাস
তোমায় করেছে উদাস
করেছে বিরহীনি,
তাই ভাবছো হয়তো ভুলেই গেছি আমি!

দূরে আছি বলে পর হয়ে যাইনি
দূরত্ব শুধু বেড়েছে পথের,
আমি শুধু বইছি শরীরের ভার
মনতো বেঁধে রেখেছো তুমি॥

নিঃশ্বাসে কি যায় আসে বলো
তুমিইতো আমার প্রাণ বায়ু,
হৃদয়ে গাঁথা তোমার মুখটি
মন মানেনা, চোখ বারেবার তোমায় দেখতে চায় তবু॥

তুমি বিনোদিনী আমার, বিরহীনি নও
কেনো অভিমানে ভেজাও আঁখি,
মান ভাঙ্গাবো আসবো যখন
রাঙিয়ে তোমার সিঁথী॥"

#নিরো
১৯/০৩/২০১৪ইং


“যা প্রবৃত্তিকে নিবারণ করে সংযত করে কাম,
সে’ই প্রকৃত ভালোবাসা, প্রেম তারই নাম।
যে রুপ দৃষ্টিকে কামাতুর করে না দিয়ে মনকে দোলা,
সে প্রেম শুধু মনকেই পুড়াবে দিয়ে যাবে বিষ জ্বালা।
স্পর্শে যাদি শরীর জাগে হৃদয়ে বহেনা ধারা,
সে কিছুতেই প্রেম হতে পারেনা কামস্পৃহা ছাড়া।
কাম ও প্রেম পাশাপাশি থাকে হয়ে একে অপরের প্রতিবেশি,
কাম হল তপ্ত সূর্য্য কিরণ আর প্রেম সুশীতল স্নীগ্ধ পূর্ণ শশী।”
(আংশিক)

#নিরো
২৭/০৮/২০১৬ইং


:- হ্যাঁলো, কে বলছেন?
:- আমি, ভালো আছো?
:- এইতো আছি!
:- আমায় চিনতে কি পেরেছো?

:- হুম, মনটা বলছে তুমিই,
তাই ভুল হবার কথা নয়!
:- আমিতো ভেবেছি ভুলেই গেছো বোধহয়!

:- না, তেমনটি ভাবিনি আজো আমি!
ভুলা হয় নি তাই এখনো তোমায়!
:- জানি আমি কষ্ট দিয়েছি, ভেঙ্গেছি বিশ্বাস
তবুও পারো যদি ক্ষমা করো আমায়!

:- কেনো অযথা অপরাধী ভাবো
করোনিতো কোনো তুমি পাপ!
:- তবুও বলছি, সুখি হতে পারবোনা জানি
দাও যদি তুমি অভিশাপ॥

:- পূর্নতায়ই শুধু অমর হয়না প্রেম
বিচ্ছেদেও বেঁচে থাকে,
:- মিছে অভিনয় বুঝি সবি আমি
জল কেনো তবে ঐ চোখে?

:- বাদ দাও আজ ও সব কথা,
তোমার কথা বল শুনি।
কেমন তোমার সংসার বলো
কেমন তোমার স্বামী?
:- আছি আমি বেশ!
সুখ এসে কড়া নাড়ে দরজায়
না কাটতে এক সুখের রেশ॥

:- খুশি হলাম জেনে,
অপার সুখ তোমার ভূবনে॥
:- বিয়ে করেছো,
আর এখন কি করছো?
না করলে কেমন তোমার প্রেমিকা?
:- হা হা হা, হাঁসালে!
তোমার আগে বা পরে
কেউ জুটেনি কপালে
যেমন ছিলাম তেমনিই আছি একা॥

:- আমার প্রেমে পড়বে তেমন কেউ নেই!
:- তোমার প্রেমে পড়েছিলাম তো আমি নিজেই॥

:- সেদিন হয়তো ভুল সমিকরণে
মিলে গিয়েছিলো অঙ্ক!
:- ভুল ছিলনা, আমারই দোষে
লেগেছে তার গায়ে কলঙ্ক॥

:- ভুলে গিয়েছিলে নতুন করে আবার কেনো মনে করেছো?
:- নেই তুমি আর সেই পুরোনো
এখন অনেক বদলে গেছো!

:- তেমনি আছি ছিলাম যেমন॥
:- হয়তো তাই॥
রাখি তবে আজ ভালো থেকো, কেমন!

:- আমাদের কথা কি হবে আবার?
ওপাশ থেকে কথা এলো না আর
তারপর সময় শুধুই নীরবতার.....

#নিরো
০১/০৩/২০১৪ইং


আমার প্রিয় কৃষ্ণচুড়া
তোমার লাল গোলাপ,
ভাল লাগে তোমায় শুনাতে কবিতা
তুমি বল এসব পাগলের প্রলাপ।

তোমার প্রিয় সাজতে রুপোয়
গয়না, মেকাপ আর দামি শাড়ি,
আমি চাই সাজাতে তোমায় ফুলে
আর কানে সোনাছড়ি॥

ঘুম যে তোমার ভীষণ প্রিয়
আমার ভাল লাগে জেগে দেখতে চাঁদ,
বৃষ্টি এলেই ঘরে লুকাও তুমি
আমার প্রিয় বৃষ্টি ভেজা ছাদ॥

আমি খুজি জীবনের মানে
ছুটে যেতে চাই নিরন্তর,
তুমি বল এসব বোকাদের কাজ
অযথাই অবান্তর॥

তোমার কাছে জীবন মানে
অর্থ-বিভোব আর প্রাচুর্য্য,
আমি বলি সেইতো ধনী
মন ভরা যার মাধুর্য্য।
(চলবে)

#নিরো
৩১/০৫/২০১৪ইং


চরণ ভজন কি সে কারণ? ভক্তিই বা কি?
গুরু সে হয় কত প্রকার? কেমনই বা তার প্রকৃতি?
সৃষ্টির মূলে লুকাইলো সে যে সৃজিলো বিশ্বভূবন,
কোন সূপ্ত নিগূঢ় তত্ব করলে রপ্ত খুলে সে বিভাজন?
কোন সে ভাবের অভাব হলে স্বভাবে ধরে পঁচন?
কোন সে মৃত্যু অমর করে আর জীবদ্বশায় হয় মরণ?
কি সে জ্ঞানে জ্ঞানাঙ্গনে হয়রে আলোর চাষ?
কো সে সময় অতিবাহিতে হয় বছরান্তে মাস?
এসব কথা জিজ্ঞাসিলে লোকে আমায় পাগল বলেে
উন্মাদ বলে দেয় আখ্যা,
তবুও মন প্রশ্ন করে যায় সারাক্ষণ
চায় প্রতিনিয়ত এর ব্যাখ্যা।
(আংশিক)

#নিরো
২৩/০৮/২০১৬ইং


মিথ্যের কাছে হেরে যাবে কি সত্যের সেনা?
করবে কি সব গ্রাস আবারো সেই হিংস্র হায়না?

মন্ত্রমুগ্ধ আমরা সবাই দেখছি হাতের কারসাজি,
সব হারিয়েও সেই ঘোড়াতেই ধরছি আবারো বাজি॥

ঘোমটা তুলে খেমটা নাচন দেখছি দিয়ে হাততালি,
চোখের সামনেই করছে চোরে ঘামে ভেজা পকেট খালি॥

চোরের মায়ের বড় গলা যুগে যুগে প্রমাণিত,
সেই চোরেতেই দিচ্ছি সপে আমাদেরই বিশ্বাস যত॥

মিথ্যা বলা মহাপাপ সর্বকালেই সর্ব লোকেই বলে,
সত্য হল পরাজিত শেষে এই ঘোর কলিকালে॥

মিথ্যের শুনি জয়ধ্বনি, মিথ্যাবাদীর জয় জয়কার চারিদিকে,
তারাই গড়ছে আজ প্রসাদ সম অট্টালিকা, সততাকে যারা মেরেছে গলাটিপে॥

#নিরো
০৩/০৭/২০১৩ইং


“বালিকা ক্ষুদে বার্তায় প্রেম নিবেদন করে
কোন উত্তর না পেয়ে অসম্ভব ভালোবাসার কথা জানায় পুনরায়, 
‘যে ভালোবাসা অসম্ভব! তা কি প্রয়োজন সম্ভবের?’ 
আমিও জানিয়ে দেই ফিরতি বার্তায়। 
শত আবেগের বাক্য প্রয়োগে পরবর্তী বার্তা আসে,
আমার বার্তা পেয়ে নাকি সে
এক হাতে বার্তা লিখে আর এক হাতে চোখের জল মুছে।
কোন কিছুতেই মানছেনা সে যে
সিদ্ধান্তে সে নাকি স্থীর,
বলে, ‘‘ফিরিয়ে দেবোনা চলে এসো যদি না পাও খোঁজে সুখের নীড়!’’
আমি মানস প্রিয়া নয়,
কল্পিত প্রিয়ার কল্পনাতে বিভোর থাকি সব সময়,
বালিকা শুনে অবাক হয়ে প্রশ্ন করে
‘‘এ আবার কি করে হয়?’’
পরক্ষণেই বলে,‘‘আপনার ভাষা বড়ই কঠিন বুঝে ওঠা তাই দায়!’’
তাইতো আমি আড়ালেই থাকি যেন না আমায় চেনা যায়।
আষাঢ়ের মেঘ বালিকার মনে আঁধার করেছে
যেমন চাঁদ ঢাকে অমাবস্যায়,
অনেক কষ্টে মানিয়ে অবশেষে বললাম,
ভালো থেকো তেবে, বিদায়!”

#নিরো
২৭/০৬/২০১৫ইং


পিতার কাঁধেতে পুত্রের লাশ
বল বিধি তোমার এ কেমন পরিহাস?

যে পুত্র পিতার অবলম্বন
হাজার বিপদে আগলে বুকে
করেছে যাকে লালন-পালন।
কেমন করে সেই জাদুরে
চির নিদ্রায় শুয়ায় কবরে
বুকে বেঁধে পাষাণ॥ 
এতকাল যারে কোলে পিঠে করে
রেখেছিল যতনে আগলে ধরে,
সকল আঘাত সয়েছিলো নিজে
লুকিয়ে বুকের পাজরে।

বংশ প্রদীপ জ্বালবে বলে
গর্ব করতো যেই পিতা,
সেই প্রদীপ নিভে গেলো চোখের সামনে
নিজ হাতে জ্বালতে হলো তারই চিতা।

কতটা ভারি বয়ে যাওয়া কাঁধে
পুত্রের লাশ পিতার,
বুঝতে বিধি তুমিও তখন
যদি জন্ম নিতে পৃথিবীতে একটিবার!

যে মা তার রক্ত মাংসে
জন্ম দিল প্রাণ,
জানি, এ তোমার অপার লীলা
পরম করুণার দান॥

পিতার গচ্ছিত প্রাণের অণু
মা তার গর্ভে করে ধারণ,
তিলে তিলে মায়ে কষ্ট সয়ে
সবই দিলো যার জন্য বিসর্জন।

১০মাসের কষ্ট সে নয়
যা মা প্রসবের বেলা সয়,
মৃত্যুর পারে দাড়িয়ে মা
তখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।

সব ব্যথা, কষ্ট যাতনা
ভুলে মা সন্তান কোলে নিয়ে,
সন্তানকে খাইয়ে রাখে
নিজে আধপেটা না খেয়ে॥

চোখে চোখে রাখে সারাক্ষণ যেন
ব্যথা না পায় তার চাঁন,
ফুলের আঁচড় পড়লে গায়ে
নীরবে রক্ত ঝরায় মায়ের প্রাণ॥

একটু আড়ালে গেলে কখনো
অস্থির হয়ে ডেকে হয় সারা আয় ফিরে আয় বাপ,
সেই মায়ের বুক খালি করে
ভাসাও তারে অথৈ পাথারে
বলো তার কি পাপ?

পিঁপড়ে পোকায় কাটবে বলে
মাটিতে রাখেনি কখনো যারে,
শুয়ায়ে দেয় সেই নাড়িছেড়া ধন
অন্ধকার মাটির ঘরে চিরতরে॥

অস্রুজল মায়ের ঝরেনা চোখে
যা ঝরে তা রুধির ধারা,
এ ব্যথা ভুবনে বুঝবে না কেউ
যে পিতা-মাতার পুত্র যায়নি চোখের সামনে মারা।

তুমি মহান প্রভু সর্ব শক্তিমান
তোমার কাছেই নত করি শির,
বড় নরম হৃদয় দিয়ে গড়েছো তুমি
মানুষ পৃথিবীর।
ক্ষমা চাই আমি দয়া করো দয়াময়
শক্তি দাও ভুলতে শোক,
প্রার্থণা করি পাপী আমি তোমাতে
যেন কোন পিতা-মাতা না দেখে
সন্তানের প্রাণহীন দেহ মুখ।

#নিরো
২০/০৫/২০১৪ইং



তোমার বাড়িতে আজ রাজভোগ হচ্ছে
তারই গন্ধে-রন্ধে পুরো বাড়ি সয়লাভ,
হৈহুল্লোড় কত আনন্দ আর কত হাঁসি ঠাট্টা
কিছু আমন্ত্রিত অতিথী আর কিছু অবাঞ্চিতের আর্বিভাব॥
কত খাবার আজ অপচয় হবে!
তোমাদের ফেলে দেয়া ময়লাও পাবেনা যারা পায়নি নিমন্ত্রণ,
চোখেও দেখবেনা কি দিয়ে তোমরা উদরপূর্তি করো!
তোমার বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে যে সুগন্ধ পেয়েছে ওরা
ওতেই ভরাবে পেট ও মন॥
তোমার বাড়ির পোষা কুকুর-বেড়ালের 
অবশিষ্ট যে উচ্ছৃষ্ট তোমার
যদি তাদের কপালে জুটে,
ওদের কি নেই তার থেকে অধিকার?
পেট ভরে না হোক! এক মুঠো দাও
দেখবে হাঁসির পদ্ম কিভাবে ফুটে॥
চোখ মেলে দেখো হয়তো পড়বে তখন তোমার চোখে,
তোমার বাড়ির সুখের কোলাহল
কাঁটা হয়ে বিঁধে ওদের বুকে॥
কে কি করলো, করবেই বা কি?
চিন্তা ছেড়ে তুমি না হয় শুরু করো আগে,
দেখবে, ধুলোয় লুটাবে সুখের স্বর্গ
তোমার দেয়া ঐ এক ভাগে॥

#নিরো
০৭-০২-২০১৪ইং



প্রেম নিয়ে অন্তরে,
তোমার দুয়ারে ঘুরেছি কত কড়া নেড়েছি দ্বারে।
তবু রুদ্ধদ্বার খুলেনি একটিবার,
হৃদয়ের প্রেম অতলে তলিয়েছে
মরেছে করে হাহাকার।
আমার মনটা ছিলো কাদামাটি,
সপেছিলাম তোমায় গড়তে ইচ্ছেমত
করতে পুড়িয়ে খাটি।
পুড়িয়েছো সত্যি মন,
স্মৃতির তাড়ণায় প্রতি মূহুর্তে তাই
বিষাদের আলিঙ্গন।
আমার আকাশের মেঘ ছিলে তুমি,
হঠাৎ আসা উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গী হলে কেন
আমি তা না জানি।
উড়ে গেলে তেপান্তরে হৃদয়ের মায়া ভুলে,
জ্বালা জুড়াবার বৃথা চেষ্টা তাই চোখের জলে।

#নিরো
০৫/০৪/২০১৪ইং


:- কেমন আছো?
:- এইতো চলে যাচ্ছে দিন,
কেমন আছি তা আর খুজে দেখিনি কোনদিন!

:- এভাবে বলোনা, নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়!
:- আমিতো স্বেচ্ছায় নির্বাসিত আজ
মেনে নিয়ে পরাজয়!

:- চিরকাল তুমি নিজেকে লুকিয়ে
দিয়ে গেলে করে ঋণী?
:- এসব এখন মূল্যহীন আবেগ
যা কখনো তুমি বুঝনি!

:- সেইতো আমার ক্ষণিকের সুখ
আজন্ম অমৃতের সমান,
:- থাম, আর বলোনা
কেন এসব বলে করছো আবার অপমান!

:- সত্যি বলছি, এ বিভাজনের দায় শুধুই একা আমার।
:- ক্ষতটাকে লুকিয়ে একটু বাঁচতে চাই
প্রয়োজন কি তাকে জাগিয়ে দেবার?

:- ভালো থাকো এই কামনা আজীবন করে যাবো,
:- কি করে ভাবলে তুমি আমি তোমায় অভিশাপ দেবো?

:- নতুন করে আবার পৃথিবী সাজাও
নতুন কারো রেখে হাত,
:- কে বলেছে একা আমি
এইতো আমার সঙ্গী রাতের তারা আর চাঁদ।

:- একটিবার আমার কথা শুনো
এভাবে করোনা নিজেকে করছো বঞ্চিত!
:- আর্শীবাদ করো যেন এভাবেই চিরদিন
বিষ নিগড়ে পান করতে পারি সুধা অমৃত!

***নিরো***
২৮/০২/২০১৫ইং



১৷ তখন হেম‌ন্তের শেষ প্রায়, শী‌ত দ্বা‌রে আ‌সিয়া কড়া না‌ড়ি‌তেছে। পদার্থ বিজ্ঞান বিভা‌গের এক যুবক রসায়‌নের এক সুন্দরী রমণীর প্রে‌মে প‌ড়িয়া‌ছে এবং প্রস্তাব ও দিয়া‌ছে। রমণী রা‌জি ব‌লিয়াই ম‌নে হই‌লো। কারণ, রমণী প্রত্তুত্য‌রে মৃদু হা‌সিয়াছিলো।
*
২৷ শীত আ‌সি‌তেই প্রে‌মের উষ্ণতা বা‌ড়িলো। এরই মা‌ঝে রমণী জন্ম‌দিন স‌ন্নিক‌টে আ‌সিয় প‌ড়িলো। যুবক তা‌কে কি উপহার দি‌বে ভা‌বিয়া ভা‌বিয়া দি‌শে হারা। এই শীতে রমণী একখানা চাদর খ‌রিদ ক‌রি‌বে ব‌লিয়া যুবক‌কে জানাইলো। যুবক ভা‌বি‌লো ত‌বে জন্ম‌দি‌নে একখানা দা‌মি চাদর কি‌নিয়া দি‌বে।
*
৩৷ যুবক দা‌মি একখানা মা‌র্কে‌টে যাওয়ার প‌রে একখানা Hoodie তার খুবই পছন্দ হইয়া গে‌লো এবং সে তাহা খ‌রিদ ক‌রিলো। জন্ম‌দি‌নে যথারী‌তি তাহা উপহার হি‌সে‌বে রমণী‌কে দি‌লো।
*
৪৷ উপহার পাইয়া রমণী খু‌শি হওয়ার প‌রিব‌র্তে রা‌গিয়া গিয়া তাহা‌কে অপদার্থ ব‌লি‌লো এবং সম্প‌র্কে ভাটা প‌ড়িলো। ইহার এরুপ আচর‌ণের হেতু যুবক আ‌বিষ্কা‌রে ব্যর্থ হই‌লো।
*
*
*
*
*
*
৫। তার এক বছর প‌রে যুবক যখন সেই পু‌রো‌নো প‌থে হাট‌ছি‌লো, দেখ‌লো অন‌তি দূ‌রেই রসায়‌নের সেই রমণী‌টি এক‌ যুব‌কের সহিত একখানা চাদ‌রের উষ্ণতা ভাগ ক‌রিয়া ল‌ইয়া‌ হা‌সি ঠাট্টায় মত্ত হইয়া‌ছে।
আজ এই দৃশ্য দে‌খিয়া যুবক অ‌বশে‌ষে সেই দি‌নের অপদার্থ বলার অর্থ বু‌ঝি‌লো!


#নিরো
০৭/০১/২০১৬ইং

"ছোট ছোট ভুল গুলো এক এক করে মিলে
দুজনার মাঝে হল একটি দেয়াল,
একটু একটু করে দুরে সরে যেতে যেতে
দুজন দুজনার চোখের হলাম আড়াল,
তুমিও তেমন নেই আমিও বদলে গেছি
ভালবাসা টানেনা আর আমাদের কাছাকাছি
এখন ভালবাসার বড়ই আকাল ॥

তোমার যতটা দোষ আমারও ততটাই
ব্যবধান বাড়ার পথে,
তুমিও দাওনি ছাড়
আমিও মানিনি হার
দুজনই চেয়েছি শুধু জিততে ॥

দুজনই বাসি ভাল আমাকে যতটা তুমি
তোমাকেও ততটাই,
সবই আছে এখানে
স্বপ্ন দুই নয়নে
তবু যেন কোন কিছু নাই ॥"

‪#‎নিরো‬
৩০/১২/২০০৯ইং


(১)
মনে পড়ে তুমি বলেছিলে কানে কানে
ভালোবেসে আমায় যেতে রাজি সহ-মরণে।
দিতে রাজি ছাড় পৃথিবী জোড়া সকল বন্ধন সুখের,
বাক্যে অনড়, চাই যে তোমার
একটু জায়গা আমার বুকের।
মনে পড়ে কোন এক শিবরাত্রিতে,
উপবাসি ছিলে তুমি
আমার আশু মঙ্গল ব্রতে।
কেঁদেছিলে খুব অভিমানে সেদিন
দেখা হয়নি বলে এক সন্ধ্যায়,
কোনো কিছুতেই বুঝতে চাওনি
থামেনি ধারা কোন আকুতি বা বাহানায়।
মনে পড়ে তুমি আমার একটু সঙ্গ পেতে,
কালি দিয়ে নয় চোখের জলে
আকঁতে রেখা প্রতিটি চিঠিতে।
জন্ম হতে জন্মান্তরে,
বলতে যেনো ভালোবেসে মোরা
ফিরে আসি ঠিক এমনি করে।
(২)
আজ শুধু দীঘ©শ্বাসে সেই হারানো ক্ষণ স্মরণ করি,
বহুদিন হলো দেখিনা তোমায়
জানিও না আর হবে কি দেখা
কে জানে, তার আগেই হয়তো মরেও যেতে পারি।
অজানাই আজো রয়েই গেলো
হঠাত্‍ তোমার বদলে যাওয়ার কারণ,
কোমল মতি প্রেম পিয়াসি প্রিয়া আমার
করলো কেনো রুদ্র মূর্তি ধারণ?
অবশেষে জানলাম প্রেমসংহিতায়,
যতটা আগুন জ্বলে বুকে
তার ঢের কম আগুন জ্বলে চিতায়।
আর্শীবাদ করি সুখী হও বেঁচে থাকো
হাজার বছর বা তারও বেশি,
মূমূর্ষ্য মন হাফ ছেড়ে বলে
মরে গেলেই এখন বড় বাঁচা বাঁচি।

#নিরো

১৭/১০/২০১৪ইং

"এমন একটা বন্ধু চাই যে,
দুঃখ দেবেনা কখনো,
যার হাতে হাত রেখে
মন খুলে কাঁদতে পারবো।
যে নেবে ভাগ আমার দুঃখের ও
বন্ধু হতে চাই এমন কারো॥

যে যাবেনা দূরে কভু আমায় ছেড়ে
না দেক্ দুঃখে স্বান্তনা,
সারাটিক্ষণ যে থাকবে পাশে
প্রতিদানে কিছুই চাইবেনা।
বন্ধু হতে চাই এমন কারো
যে নেবে ভাগ আমার অস্রুর ও।

যার চোখে তাকিয়ে দেখবো পৃথিবী
কখনো কোন প্রশ্ন তুলবেনা,
হাজার ভুলের মাঝেও যে
আমায় কিছুতেই ভুলবেনা।
বন্ধু হতে চাই এমন কারো
ভালোবাসতে জানে যে আমারই মতো।"

‪#‎নিরো‬
০৫/০৮/২০০৭ইং
রবিবার, বন্ধু দিবস।