মাগো দূর্গতিনাশিনী স্বর্গবাসিনী
স্বর্গপুরে কি এবার কোন খাবার বাঁচেনি?
নিয়ে এসো মা সাথে মনে করে দিওনা তা ফেলে,
ভেবোনা শেয়াল কুকুরে খাবে!
খাবে তারাই, যাদের সবাই মানুষই বলে!
তুমিতো মা আসছো বাপের বাড়ি
খাবে বলে ঘিয়ে তেলে,
জানো কি মা সারাবছর উপবাসী থাকে
তোমার কত মেয়ে ছেলে?
ওরা দেখি কত মন্ডা মিঠাই আরো কতনা
সুগন্ধী খাবারে দেয় তোমার ভোগ,
জানো কি মা?
কারো কাছে সেই সুখটাই মরার মত শোক!
এই যে এতো জমকালো আলো
পাশেই আঁধার দিচ্ছে স্বহাস্যে ভ্রুকুটি,
তুমিনা মা ত্রিনয়না?
তোমার কি হয়না গোচর দৃষ্টি?
তোমার পুত্র বলে দাবি করা মর্তে আছে যত অসুর,
বলে দাও মা এবার তুমি আসবেনা নিতে
অনাহারির ক্ষুধার অর্ঘ,
রয়ে যাবে স্বর্গপুর।
নয়তো বলো বেল পাতা, জল-ফুলে
তোমায় যেন ঘরে তুলে,
মানুষ নামের সত্যি দেবতা যারা
দেয় যেনো তার গায়ে জামা আর দুটো অন্ন মুখে।
ভালো না বাসলে মানুষ দেবতারে
মাটির দেবী কি করে তাতে খুশি হয়?
উদর পুরিতে ক্ষুধার দাবানল জ্বেলে
দেবীর পূজা না হয়।
তুমি না মা?
আর মা কি কখনো সন্তান না খাইয়ে
অন্ন মুখে না লয়?
#নিরো
২৯/০৯/২০১৬ইং
10:42:00 AM |
Category:
All-kobita,
bangla kobita,
দূর্গতিনাশিনী,
দূর্গা,
দেবী,
দেবী বন্দনা,
দেবীর পূজা
|
0
comments
Comments (0)